শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ স্মরণে স্মরণ সভা

 

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও প্রবীণ সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ ছিলেন একজন পেশাদার সাংবাদিক। পেশাগত জীবনে তিনি সবকিছুকে ছাপিয়ে সাংবাদিকতাকেই প্রাধান্য দিতেন। তিনি রিপোর্টার থেকে সম্পাদক হয়েছিলেন। উচ্চ শ্লোগান না দিয়েও কীভাবে সমস্যার সমাধান করা যায়, সে পথ তিনি আমাদের দেখিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব আয়োজিত সদ্য প্রয়াত সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ স্মরণে এক স্মরণ সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, রিয়াজ ভাই ছিলেন সাংবাদিক সমাজের অভিভাবক। যেকোনো সমস্যা সংকটে আমরা তাকে দায়িত্ব দিতাম। তিনি সুন্দরভাবে তা সমাধান করতেন। আমাদের সকলের সম্মান ও শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন তিনি। তাকে হারিয়ে আমরা অভিভাবক শূন্য হয়ে পড়েছি। তিনি আরও বলেন, রিয়াজ ভাইয়ের লেখাগুলোকে একসঙ্গে গ্রন্থিত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। 
স্মরণ সভায় ডেইলি অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবাহান চৌধুরী বলেন, আমি আর রিয়াজ ভাই একই সঙ্গে সাংবাদিকতা শুরু করেছিলাম। আমরা পাকিস্তান অবজারভারে কাজ করেছি। দুর্ভাগ্যক্রমে তিনি একটি ধারায় চলে গেছেন। এক সময় ঐক্যবদ্ধ পতাকার তলে আমরা কাজ করতাম। যাদের ত্যাগের বিনিময়ে সাংবাদিক ইউনিয়নের ঐক্যবদ্ধ পতাকা পেয়েছিলাম, কিন্তু আমরা সে পতাকা ধরে রাখতে পারিনি। ১৯৯২ সালে আমরা বিভক্ত হয়ে গেলাম। একটি হলো মুক্তিযুদ্ধ চেতনার, আরেকটি জাতীয়তাবাদী। এরপর আমরা কিছু বিষয়ে এক হয়েছি। তিনি সাংবাদিক ছিলেন এবং সাংবাদিক হিসেবেই মৃত্যুবরণ করেছেন।
রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের ছেলে মাসরুর রিয়াজ বলেন, বাবা সব সময় আমাদের আদর্শিক একটা চেতনায় বড় করেছেন। সৎ পথে চলা, মানুষকে ভালোবাসার শিক্ষা দিতেন। তিনি পরিবার ও সংবাদমাধ্যম কর্মীদের সমানভাবে দেখতেন। বরং সংবাদকর্মীদের প্রতি বেশি উদার ছিলেন। 
এই স্মরণ সভায় রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের পরিবার ও অনেক সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত শব্দসমূহঃ

মন্তব্য করুনঃ

মন্তব্য সমূহ (কোন মন্তব্য পাওয়া যায় নি।)

এই শাখা থেকে আরও পড়ুনঃ