শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শাবিপ্রবি: আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পুনরায় আলোচনায় বসার আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর

 

সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালনরত শিক্ষার্থীদের পুনরায় আলোচনায় বসার অনুরোধ জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করে শিক্ষামন্ত্রী এই অনুরোধ জানান।

শনিবার (২২ জানুয়ারি ২০২২) সন্ধ্যায় রাজধানীর হেয়ার রোডে শিক্ষামন্ত্রীর বাসায় এই বৈঠক শুরু হয়। পরে রাতে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা চাই তাঁরা (শিক্ষার্থীরা) অনশন প্রত্যাহার করুক, তারা আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসুক। এখন যদি অনশনরত অবস্থাতেও বসতে চায় তাও করতে পারে। যেকোনো সমস্যার একমাত্র সমাধান আলোচনা। কাজেই আমরা আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান করতে চাই। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার জন্য দ্বার সব সময়ই উন্মুক্ত।

এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পারিবারিক অসুস্থতার কারণে এখন তিনি সিলেটে যেতে পারছেন না। তবে প্রয়োজনে তাঁর প্রতিনিধি যেতে পারেন। শিক্ষার্থীরা যখনই কথা বলতে রাজি হবে তখনই যেতে পারবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।

তবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন এর আগে শিক্ষার্থীরা এত উৎসাহ নিয়ে আলোচনায় বসার জন্য রাজি হয়েও কি কারণে পাল্টে গেল তা খতিয়ে দেখতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী।

বৈঠকে শাবিপ্রবির শিক্ষক প্রতিনিধি ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ, সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আলমগীর, উপাচার্যদের সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক হাবিবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গতকাল শুক্রবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সঙ্গে দেখা করতে ঢাকায় আসেন। প্রতিনিধিদলের মধ্যে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি তুলসী কুমার দাস, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মুহিবুল আলম, ফিজিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন মো. রাশেদ তালুকদার, অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সেস অনুষদের ডিন আরিফুল ইসলাম ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন খায়রুল ইসলাম। 
উল্লেখ্য, ১৩ জানুয়ারি  রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তাঁর পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন হলের কয়েক'শ ছাত্রী। পরে গত ১৫ জানুয়ারি ২২ সন্ধ্যায় ছাত্রলীগ ছাত্রীদের আন্দোলনে হামলা চালায়। পরের দিন বিকেলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন। তখন শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা ও তাঁদের লক্ষ্য করে শটগানের গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ। ওই দিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীরা তা উপেক্ষা করে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। 

ওই হামলার প্রতিবাদে ঢাকা, রাজশাহী, জাহাঙ্গীরনগর, খুলনা, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন নাগরিক ও রাজনৈতিক সংগঠন।

মন্তব্য করুনঃ

মন্তব্য সমূহ (কোন মন্তব্য পাওয়া যায় নি।)

এই শাখা থেকে আরও পড়ুনঃ