শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মতিঝিলে আ.লীগ নেতা টিপু খুন

হত্যার সমন্বয়কারী মুসা ওমানে গ্রেফতার

 

রাজধানীর শাহজাহানপুরের ব্যস্ত সড়কে ফিল্মি স্টাইলে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপুকে গুলি করে হত্যার সমন্বয়কারী মুসা রয়েল ওমান পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। এর আগে গত মাসের শুরুতে মুসা দুবাই থেকে ওমান যান। তাকে ফেরাতে কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশের পুলিশ। চলতি মাসের শুরুর দিকেই এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি জানাতে পারবেন বলে আশাবাদ সংশ্লিষ্টদের। তারা বলছেন, এতে টিপু হত্যার মামলার তদন্তে গতি পাবে এবং অনেক রহস্যজট খুলতে শুরু করবে। পুলিশের একাধিক সূত্র  এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

পুলিশের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর (এনসিবি) সহকারী মহাপরিদর্শক মহিদুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, দুবাই থেকে ওমানে যাওয়ার পর সেখানকার পুলিশ তাকে নজরদারিতে রেখেছে। তাকে ফেরাতে কাজ চলছে।

এদিকে ঘটনার দুই মাসের বেশি পার হলেও চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার সবেচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলমত হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র ও মোটরসাইকেল উদ্ধার হয়নি। শুটার মাসুম মোহাম্মদ আকাশ গ্রেফতার হলেও তাকে বহনকারী মোটরসাইকেলের চালক মোল্লা শামীম এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। এতে হত্যার সময় ‘একাধিক অস্ত্রের ব্যবহার’ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেলেও নেপথ্যের অনেক ঘটনা এখনো রহস্য হয়ে আছে। মুসা ফিরলে এসব রহস্য উন্মোচন হবে প্রত্যাশা করছে পুলিশ।

এর আগে ২৪ মার্চ ২০২২ রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টায় শাহজাহানপুরের আমতলা এলাকায় সড়কে প্রকাশ্যে গুলিতে নিহত হন আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু। এছাড়া ঘটনাস্থলে একজন নিরীহ কলেজছাত্রী নিহত হন। পেশাদার কিলার বাহিনী এক থেকে দেড় মিনিটের অপারেশন শেষে পালিয়ে যায়। ১২ রাউন্ড গুলি ছোড়ে টিপুর দিকে। এর মধ্যে তার শরীরে সাত রাউন্ড গুলি লাগে। মতিঝিলের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক হিসাব-নিকাশের জেরে এবং পূর্ববর্তী কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ হিসাবে হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয় বলে জানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এখানে আন্ডারওয়ার্ল্ডেরও সম্পৃক্ততা রয়েছে। হত্যার পর নিহত জাহিদুল ইসলাম টিপুর স্ত্রী ফারহানা ইসলাম ডলি শাহজাহানপুর থানায় একটি মামলা করেন। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেফতারের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে পুলিশ-র‌্যাব।

সম্পর্কিত শব্দসমূহঃ

মন্তব্য করুনঃ

মন্তব্য সমূহ (কোন মন্তব্য পাওয়া যায় নি।)

এই শাখা থেকে আরও পড়ুনঃ