শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ব্যালট ছিনতাই-সংঘর্ষ, পুলিশের গুলি

 

দ্বিতীয় ধাপে শেরপুর জেলা সদরের ১৪ ইউনিয়নে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হয় ভোট উৎসব। কিছু কেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন সহিংসতার সংবাদ পাওয়া গেছে। কয়েকটি কেন্দ্রে চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শটগানের গুলি চালিয়েছে।

কামারিয়া ইউনিয়নের খুনুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ব্যালট ছিনতাইয়ের কারণে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে হামলা-সংঘর্ষের জেরে পাকুড়িয়া ইউনিয়নের চকপাড়া ও গণইভরুয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।

লছমনপুর ইউনিয়নের হাতিআলগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনায় ওই দুই কেন্দ্রের ভোট বন্ধ রাখা হয়েছে। বিভিন্ন কেন্দ্রে সহিংসতার ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গুরুতর অবস্থায় পাকুড়িয়া এলাকার নুরুন্নবী মিয়া (২৫) নামে একজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ এবং ৩৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছে পুলিশ।

কামারিয়া ইউনিয়নের খুনুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মো. মোখুলেছুর রহমান ঘটনার জানান, বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটের দিকে এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকরা ভোট কেন্দ্রের ভেতর ঢুকে পড়ে। তারা কর্তব্যরত নির্বাচনী কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ৩টি করে ব্যালট বই-এর ৯ সেট ব্যালট পেপার জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় কর্তব্যরত পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং শটগানের ১ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ব্যালট ছিনতাইয়ের পর কেন্দ্রটির ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনার সংবাদ পেয়ে পুলিশ সুপার মো. হাসান নাহিদ চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এদিকে লছমনপুর ইউনিয়নের হাতিআলগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বেলা পৌনে ১২টার দিকে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ ৩০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পুলিশের ছোড়া শটগানের গুলিতে তোতা মিয়া (৩২) নামে এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মো. মোক্তাদির রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ভোট কেন্দ্রের সামনে দুই গ্রুপের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ ৩০ রাউন্ড শটগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। ঘিনাপাড়া কওমি মাদ্রাসা কেন্দ্রেও প্রতিদ্বন্দ্বী সমর্থকরা সহিংসতায় জড়ালে ৬ রাউন্ড গুলি করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

এছাড়া চরশেরপুর, পাকুড়িয়া ও চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষের ঘটনায় ১৯ জনের মতো আহত হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে।

সকাল থেকেই ভোটকেন্দ্রগুলোতে দেখা যায় ভোটারদের দীর্ঘ লাইন। কেন্দ্রগুলোতে মহিলা ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতিও দেখা যায়।

সম্পর্কিত শব্দসমূহঃ

মন্তব্য করুনঃ

মন্তব্য সমূহ (কোন মন্তব্য পাওয়া যায় নি।)

এই শাখা থেকে আরও পড়ুনঃ