বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কুঁড়িয়ে পাওয়া নবজাতকের বাবা-মা আটক

 


নেত্রকোনা প্রতিনিধি: নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলায় ধানক্ষেতে কুঁড়িয়ে পাওয়া সেই নবজাতকের বাবা-মাকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ৪ জনের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের শিশু আইনের ৭০ ধারায় মামলা দায়ের করে।

এ ঘটনাটি ঘটেছে নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলায়। আটককৃতরা হলেন- কেন্দুয়া উপজেলার গুগ গ্রামের মো. আব্দুল হকের ছেলে আল মোমেন (২৪) ও তার স্ত্রী জান্নাত আক্তার শিলা (১৯)। এছাড়াও মামলার আরও দুই আসামি হচ্ছে মোমেনের মা শারমিন আক্তার (৫০) ও শিলার মা শিল্পী আক্তার (৪০)।

কেন্দুয়া থানার এসআই শফিউল আলম বাদী হয়ে গত সোমবার রাতে শিশুর মা-বাবা, দাদী-নানীকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেছেন। পরে শিশুটিকে অমানবিকভাবে ফেলে রাখা ও নিষ্ঠুরতার অভিযোগে থানায় মামলা দায়েরের পর বাবা মাকে আটক করা হয়েছে।

কেন্দুয়া থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ সুপার মো. আকবর আলীর নির্দেশনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় সামাজিক অপরাধ নিয়ন্ত্রণে, তদন্ত করে নবজাতকের বাবা-মাকে বের করার পর শিশু আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ওসি আরও জানান, আটক দুজনের মা আসামি মোমেনের মা শারমিন আক্তার (৫০) ও শিলার মা শিল্পী আক্তারকে (৪০) আটকের চেষ্টা চলছে। তারা গত ৭ নভেম্বর শিশুটির জন্মের পর তাকে ধানক্ষেতে ফেলে দেয়। এর আগে গত জুলাই মাসের ২২ তারিখ গুগ গ্রামের মো. আব্দুল হকের ছেলে মোমেনের সাথে জালালপুর গ্রামের খোকন মিয়ার মেয়ের বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের বয়স মাত্র সাড়ে তিন মাস হতেই তারা বাবা-মা হয়ে পড়ায় সামাজিক ভয়ে ছেলে নবজাতককে জন্মের পরপরই হাসপাতাল থেকে বের হয়ে গিয়ে ধানক্ষেতে ফেলে দেয়।

পরে বিকালে আদমপুর এলাকায় খান এন্ড পণ্ডিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে খেলাধুলা করার সময় শিশুরা পাশের একটি ধানক্ষেত থেকে ওই নবজাতকটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে সমাজ সেবার উদ্যোগে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা নবজাতকটিকে চিকিৎসা ও সেবা দিয়ে হাসপাতালেই রাখেন।

পরবর্তীতে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর শিশুটি দত্তক নিতে অনেকেই এগিয়ে আসেন। এদিকে এমন সামাজিক অপরাধ বন্ধে স্থানীয়রা সোচ্চার থাকায় পুলিশ হাসপাতালের রেজিস্টার দেখে সেদিন কতজন সন্তান প্রসব করেছে এগুলো আমলে নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে মা-বাবার সন্ধান পায়। পরে গত সোমবার রাতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে অভিযুক্তদের আটক করা হয়।

মন্তব্য করুনঃ

মন্তব্য সমূহ (কোন মন্তব্য পাওয়া যায় নি।)

এই শাখা থেকে আরও পড়ুনঃ