শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে বাদামের বাম্পার ফলন

 

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের চিলমারীর চরাঞ্চলে বাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে। বর্তমানে চরাঞ্চলে শুরু হয়েছে বাদাম তোলার মহোৎসব। ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক ফুটে উঠেছে।


উপজেলার অষ্টমীরচর, নয়ারহাট ও চিলমারী ইউনিয়নের চরগুলো ঘুরে দেখা গেছে, দিগন্তজুড়ে বাদাম আর বাদাম ক্ষেত। যেদিকে চোখ যায় শুধু সবুজের সমারোহ। কৃষাণ-কৃষাণিরা বাদাম তোলা ও শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।


নয়ারহাট ইউনিয়নের উত্তর ফেইচকা গ্রামের কৃষক মো. শাহিন মিয়া জানান, চলতি মৌসুমে তার ৬৫ শতাংশ জমিতে উপজেলা কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় ও পরামর্শে বাদাম চাষ করেছেন। ফসল ঘরে তোলা পর্যন্ত ৬৫ শতাংশ জমিতে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার টাকা। তিনি আশা করছেন বাজারে মণ প্রতি ১৮০০ টাকা বিক্রি হলে তার প্রায় ৩০/৩৫হাজার টাকা লাভ হবে। প্রতিবারে বাদাম আবাদ করছি বাদাম বিক্রি করে যা আয় হয় তা দিয়ে সংসার চলে এবং ছেলে মেয়ের লেখা-পড়ার খরচ করছি।


উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, চরাঞ্চলে বাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে। এবার বাদাম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে। তবে এর মধ্যেই ১৪০৬ হেক্টর জমির বাদার অর্জিত হয়েছে। শুধু বাদাম চাষই নয় পাশাপাশি চরাঞ্চলে চাষ হয়েছে মুসুর ডাল, খেসারি, সোলা, সুলটি ও মাসকালাই। 


নয়ার হাট ইউনিয়নের উত্তর ফেইচকা এলাকার কৃষাণী এছমতারা জানান, চরে এবারে বাদাম চাষ ভালো হয়েছে আমি প্রতিদিন বাদাম তুলে ২০০-৩০০ টাকা হাজিরা পাচ্ছি।


উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কুমার প্রণয় বিষাণ দাস বলেন, স্থানীয়ভাবে উন্নত জাতের বাদাম বাড়ি ৮,৯, ও বিনা জাতের বাদামগুলো আবহাওয়া অনুকুলে। বাদামের গাছগুলোতে পোকা-মাকর আক্রমণ না করায় এবারে বাদামের ফলন ভালো হয়েছে। আমরা সব সময় কৃষকের সাথে যোগাযোগ রাখছি আরেও কিভাবে বাদামের আবাদ ভালো করা যায়।


এবিষয়ে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। কৃষকরা বাদাম উত্তোলন করছেন এবং কেউ কেউ বীজ সংরক্ষণ করছেন।

সম্পর্কিত শব্দসমূহঃ

মন্তব্য করুনঃ

মন্তব্য সমূহ (কোন মন্তব্য পাওয়া যায় নি।)

এই শাখা থেকে আরও পড়ুনঃ