শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ : বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

 

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ ৮০০ কিলোমিটারের বেশি দূরে থাকলেও এর অগ্রবর্তী অংশের প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘ (বজ্র মেঘ) সৃষ্টি হচ্ছে। শুরু হয়েছে হালকা বৃষ্টিও। সর্বোচ্চ ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়া অধিদফতরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র আট নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করার জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে৷
 
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। 

ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালণশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে এবং উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

শনিবার বিকেলে আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি শক্তি হারিয়ে ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে আসবে। এর প্রভাবে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে। 

সম্পর্কিত শব্দসমূহঃ

মন্তব্য করুনঃ

মন্তব্য সমূহ (কোন মন্তব্য পাওয়া যায় নি।)

এই শাখা থেকে আরও পড়ুনঃ