শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

জুতোয় ঢেলে বিয়ার পান, ভাইরাল অস্ট্রেলিয়ার সেলিব্রেশন

 

পাঁচবার ওয়ানডে বিশ্বকাপে জেতা দল অস্ট্রেলিয়া টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে নিজেদের মেলে ধরতে পারছিল না।

এবার দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে উঠে সুযোগ হাতছাড়া করেননি অ্যারন ফিঞ্চ। রোববার ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শের ব্যাটিং তাণ্ডবে নিউজিল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারাল অসিরা। প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টির শিরোপা জিতল অ্যারন ফিঞ্চের দল। 

মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অজিদের পারফরম্যান্স যেমন আলেচিত হল, তেমনি মাঠের বাইরেও তাঁরা ঝড় তুলল আলোচনার। বিশেষ করে বিশ্বকাপ জয়ের পর অস্ট্রেলিয়ার উদযাপন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিচ্ছে।
 
রোববার (১৪ নভেম্বর) রাতে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়া দল আট উইকেটের বড় ব্যবধানে হারায় প্রতিবেশি নিউজিল্যান্ডকে। কিউয়িদের দেয়া ১৭৩ রানের লক্ষ্যে মাত্র দুটি উইকেট হারিয়েই সাত বল হাতে রেখেই পৌঁছে যায় জয়ের বন্দরে।
 
ফাইনালের এই জমজমাট ম্যাচ শেষে টি-টোয়েন্টির বিশ্বকাপের অফিশিয়াল ফেসবুক ও টুইটার পেজে শিরোপা বিজয়ী অস্ট্রেলিয়া দলের উল্লাসের একটি ভিডিও প্রকাশ করে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। সেখানে দেখা যায়, দলীয় ছবি তোলার পরে বিচিত্র কায়দায় দলের সবাই এক হয়ে জয় উদযাপন করছেন।
 
সেখানে, হঠাৎ পা থেকে জুতো খুলে তাঁর মধ্যে ক্যান থেকে বিয়ার ঢালেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ও সেমিফাইনালের নায়ক ম্যাথু ওয়েড। তারপর সেই বিয়ার পান করলেন তিনি। এরপর একই কাজ করতে দেখা যায় অলরাউন্ডার মার্কাস স্টোয়নিসকেও। 
 
তবে তিনি নিজের নয় বরং সতীর্থ ওয়েডের জুতো থেকেই পান করেন বিয়ার। এখানেই শেষ নয়, এরপর একে একে বেশ কয়েকজন অজি ক্রিকেটারকে একই কাজ করতে দেখা যায়।
 
টুর্নামেন্ট জিতলে বা বড় কোনো ম্যাচ জিতলে বা অ্যাশেজ জয়ের পর মাঠের মধ্যে অনেক দলকেই বিয়ার বা শ্যাম্পেইন পান করতে বা ছিটিয়ে উদযাপন দেখা যায়। তাই বলে সরাসরি জুতা থেকে বিয়ার পানের ঘটনা এর আগে দেখা যায়নি কখনই।
 
এখন প্রশ্ন হল- এই অদ্ভুত উদযাপনের কারণ কি? কেন এভাবে জুতোর মধ্যে বিয়ার ঢেলে পান করে উল্লাস করলেন অজি ক্রিকেটাররা? 
 
যতদূর জানা গেল, অস্ট্রেলিয়াতে এই ধরনের উদযাপন নাকি খুবই জনপ্রিয়। একে বলা হয় ‘শুয়ি’। শু মানে জুতো- তাই ওই শু-এর মধ্যে বিয়ার পান করাকেই বলা হয় শুয়ি।
 
অজিরা মনে করে, এভাবে জুতো থেকে বিয়ার পান করে উল্লাস করলে অশুভ সময় দূরে চলে যায়। আর সৌভাগ্যের খবর আসে। এখানেই শেষ নয়, তাঁরা মনে করে- কোনো নারীর জুতোয় ভরে শ্যাম্পেইন পান করলে সেটা আরো বেশি সৌভাগ্যজনক।
 
যদিও এই উদযাপনের রীতি প্রথম চালু হয় আমেরিকার শিকাগোতে, এভারলে ক্লাবে। তাও সেই ১৯০২ সালের ঘটনা। সেখান থেকেই এটা জনপ্রিয়তা পায় অস্ট্রেলিয়াতে। ২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়ান মটোজিপি রেসার জ্যাক মিলারও জুতো থেকে শ্যাম্পেইন পান করে জয় উদযাপন করেছিলেন।
 
তাহলে, এবার বুঝুন অবস্থাটা! তবে প্রশ্ন থাকছেই –এই উদযাপনে স্বাস্থ্যগত সুরক্ষা বিধি কি আদৌ মানা সম্ভব? অথচ অস্ট্রেলিয়ার এই দলটাই সর্বশেষ বাংলাদেশ সফরে স্বাস্থ্যবিধির একগাদা লিস্ট ধরিয়ে দিয়েছিল বিসিবিকে। এমনকি দলের স্বাস্থ্য বিভাগের দেয়া প্রটোকল মেনে মাঠের মধ্যেও কোনো রকম খাবার গ্রহণ থেকে বিরত ছিল ওয়েড-মার্শরা। একই নিয়ম মানতে হয়েছিল বাংলাদেশ দলকেও। এখন কোথায় গেল সেসব নিয়ম?

মন্তব্য করুনঃ

মন্তব্য সমূহ (কোন মন্তব্য পাওয়া যায় নি।)

এই শাখা থেকে আরও পড়ুনঃ