শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

জেলা পরিষদের মালিকানাধীন জায়গা অবৈধ দখলে: উচ্ছেদ অভিযান শুরু

 

বাগেরহাট অফিস: বাগেরহাট জেলা পরিষদের মালিকানাধীন বিপুল পরিমানে জায়গা ও সরকারী রাস্তার সাইড সোল্ডার অবৈধ ভাবে দখল করে সেখানে শতাধিক স্থাপনা নির্মাণ করায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়েছে। রবিবার সকাল সাড়ে ১১টায় জেলা পরিষদের উদ্যোগে ফকিরহাটের লখপুর ও কাটাখালী বাস্ট্যান্ডে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) বিধান কান্তি হালদার এর নের্তৃত্বে এই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। 


প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার লখপুর বাসস্ট্যান্ডে পশ্চিম পার্শ্বে জেলা পরিষদের মালিকানাধীন সরকারী পুকুরের পাড়ের চতুর পার্শ্বে প্রায় ১৪/১৫টি ভুমিহীন পরিবার ও পূর্বপার্শ্বে মোজাফ্ফার মোড়ল নামের একজন ব্যাক্তি প্রায় ১০ফুট সরকারী জায়গা দখল করে সেখানে বৃহৎ আকারের একটি দ্বিতল ভবন নির্মাণ করে, সেখানে দীর্ঘকাল ধরে বসবাস করে আসছেন। তাদেরকে বারবার মৌখিক ও লিখিত ভাবে নৌটিশ প্রদান করলেও দখলকারীরা তাঁতে কোন কর্ণপাত করছিল না। যে কারণে সরকারী জায়গা দখলমুক্ত করতে এই অভিযান শুরু করা হলেও পুকুর পাড়ের ১৪/১৫টি ভুমিহীন পরিবার-কে তিন দিনের এবং পূর্বপার্শ্বে জনৈক মোজাফ্ফার মোড়লকে ১মাস এবং কাটাখালী কলেজ রোডের মার্কেট এবং তার সাইড সোল্ডারে সিমানার প্রচীর নির্মাণ কারীদের ৩দিনের সময় দেওয়া হয়েছে। নির্দ্ধারিত সময়ের মধ্যে দখলকারীরা স্বঃস্বঃ উদ্যোগে যদি তাদের অবৈধ স্থাপনা গুলি উচ্ছেদ না করেন তাহলে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন সহ আবারও উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে বলেও জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) বিধান কান্তি হালদার জানিয়েছেন। 


এদিকে দখলকারী ভুমিহীনরা বলেছেন, তারা সরকারী জায়গায় থাকতে চান না। তাদেরকে সরকারী ভাবে জায়গা ও ঘর বেধে দিলে তারা জায়গা ছেড়ে দিবেন। অপর দিকে কাটাখালীর কলেজ রোডের একাধিক দখলকারীরা অভিযোগ করে বলেছেন, তারা বারবার জেলা পরিষদকে তাদের সিমানা নির্দ্ধারণের জন্য অনুরোধ করলেও তাঁরা তাতে কোন কর্ণপাত করছেন না। তারা সার্ভেয়ার এর মাধ্যমে তাদের জায়গা মেপে সিমানা নিদ্ধারণ করারও জোর দাবী করেছেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা একেএম জাকির হোসেন, প্রধান সহকারী গৌরাঙ্গ কুমার পাল, গ্রাফার সাকিল হোসেন, সার্ভেয়ার মোঃ ইমরান, অফিস সহায়ক মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ ইকবাল হোসেন ও সওজের সার্ভেয়ার মিজানুর রহমান সহ মডেল থানা পুলিশের উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) আরিফ হোসেন এবং মোঃ কাউয়ুম। 

সম্পর্কিত শব্দসমূহঃ

মন্তব্য করুনঃ

মন্তব্য সমূহ (কোন মন্তব্য পাওয়া যায় নি।)

এই শাখা থেকে আরও পড়ুনঃ