বুধবার, ০৮ মে ২০২৪

করোনাভাইরাস: ভারতে বাড়ছে সংক্রমণ; চলছে রাত্রীকালীন কারফিউ

 

ভারতে বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। শেষ ২৪ ঘন্টায় প্রায় ৩৭ হাজারের অধিক সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। খবর ভারতীয় গণমাধ্যম টাইম অব ইন্ডিয়ার।

দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার (০৪ জানুয়ারি ২০২২) বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান ১২৪ জন আর ১ লাখ ৭১ হাজারের বেশি রোগী রয়েছেন দেশে। গত সেপ্টেম্বরের পর দেশটিতে এক দিনে এত সংক্রমণ শনাক্ত হলো। সবশেষে গত বছর তথা ২০২১ সালের ডিসেম্বরে সংক্রমণ শনাক্তে সংখ্যা দৈনিক ৬ হাজারে নেমে আসে।

করোনাভাইরাসের নতুন ধরণ ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার পর দেশটিতে পুনরায় সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। সংক্রমণ পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন ধরণের পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। কোন কোন রাজ্যে চলছে রাত্রীকালীন কারফিউ আবার কোন কোন রাজ্যে বন্ধ করে দেয়া হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, করোনার সংক্রমণ বেড়ে চলছে মহারাষ্ট্রের মুম্বাইয়ে। সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে ব্রিহানমুম্বাই মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের প্রধান ইকবাল সিং চাচাল বলেন, মুম্বাইয়ে করোনার সংক্রমণ ২০ হাজার ছাড়ালে লকডাউনের মতো পদক্ষেপ নেওয়া হবে। 

তিনি বলেন, আমাদের ধারণা, প্রতিদিন ২০ হাজার আক্রান্ত হলে গুরুতর অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালে নেওয়া ও তাঁদের অক্সিজেন সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

এদিকে খ্রিষ্টীয় বর্ষবরণ উদ্‌যাপনকে কেন্দ্র করে গোয়া রাজ্যে বাড়ছে সংক্রমণ। গতকাল সোমবার (০৩ জানুয়ারি ২০২১) সেখানে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ৩৮৮টি। সংক্রমণ শনাক্তের হারও বাড়ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেখানে রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশটির সরকারের সূত্র বলেছে, শিগগিরই সেখানে কারফিউ জারি করা হবে।

তবে গোয়ায় এখনো কারফিউ কার্যকর না হলেও পাঞ্জাবে কারফিউ জারি করা হয়েছে। 

পাঞ্জাব সরকার আজ এক আদেশে উল্লেখ করেছে, রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত সেখানে কারফিউ জারি থাকবে। রাজ্যের পানশালা, বিপণিবিতান, রেস্তোরাঁ, স্পা, জাদুঘর ও চিড়িয়াখানায় এখন থেকে ধারণ ক্ষমতার ৫০ শতাংশ মানুষ প্রবেশ করতে পারবে। এ ছাড়া এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিদের পূর্ণাঙ্গ টিকা নেওয়া থাকতে হবে। ১

৫ জানুয়ারি পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে বলে উক্ত আদেশে উল্লেখ করা হয়।

এ ছাড়া পাঞ্জাবের স্কুল–কলেজসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে পাঞ্জাব সরকার। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ভার্চ্যুয়াল ক্লাস চলবে। আর মেডিকেল ও নার্সিং কলেজগুলো খোলা থাকবে। পশ্চিমবঙ্গেও একই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দিল্লি, হরিয়ানা, তামিলনাড়ু, ওডিশা, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটকেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তেলেঙ্গানা সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ৮ থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।

পাঞ্জাব সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে, যাঁরা করোনার পূর্ণাঙ্গ টিকা নিয়েছেন, তাঁরাই এখন থেকে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে পারবেন। তবে যাঁরা এখনো টিকা নেননি তাঁদের ব্যাপারে এখনো কিছু জানানো হয়নি।

এদিকে ভারতের বিহার রাজ্য নতুন করে ৭২ জন চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে সেখানে দেড়শ জনের বেশি চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হলেন।

মন্তব্য করুনঃ

মন্তব্য সমূহ (কোন মন্তব্য পাওয়া যায় নি।)

এই শাখা থেকে আরও পড়ুনঃ