শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কুমিল্লায় মাছ চাষে চার শতাধিক যুবকের কর্মসংস্থান

 

কুমিল্লা প্রতিনিধি: সরকারিভাবে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রশিক্ষণের কারণে মাছ চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার বাসরা গ্রামের শহীদুল্লাহ মিয়াজীর ছেলে আলি আহমেদ মিয়াজী। ২০০২ সালের দিকে বাবার পাটের আড়তের ব্যবসা বন্ধ হওয়ায় আর্থিক সমস্যা দেখা দেয়।

সরকারিভাবে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নিয়ে তিনি নিজের বেকারত্ব দূর করার লক্ষ্যে পরিবার ও অন্যদের সহযোগিতায় ২ লাখ টাকা পুঁজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। তিনি প্লাবন ভূমিতে স্থানীয় কয়েকজন জমির মালিকদের নিয়ে গড়ে তোলেন হিমালয় মৎস্য চাষ প্রকল্প। আলি আহমেদ মিয়াজি বর্তমানে হিমালয়, সুগন্ধা, বিসমিল্লাহ, রূপসী বাংলা, আলীচর বড় বিল, একতা, তালুকদার ফিশারিজ, মুন্সি ফিশারিজ আদর্শ মৎস্য প্রকল্প নামে ৩৬০০ বিঘা জমিতে ৯টি মৎস্য প্রকল্প হয়েছে। এ নয়টি মৎস্য প্রকল্প ৪ শতাধিক শ্রমিক কাজ করছে। 

দাউদকান্দির প্লাবনভূমিতে মৎস্য উৎপাদনে মো. আলি আহমেদ মিয়াজি ২০১৫ সালে উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন। জেলা পর্যায়েও শ্রেষ্ঠ হয়েছেন ২০২১ সালে সমাজ ভিত্তিক সংগঠনের মাধ্যমে মাছ চাষে অবদান রাখার জন্য। জেলা মৎস্য দপ্তর থেকে তাকে দিয়েছে সম্মামনা পুরষ্কার। তাছাড়া সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন পদক পেয়েছেন। ইউপি মেম্বার সজল মিয়া জানান, প্লাবন ভূমিতে মৎস্য চাষে দাউদকান্দি সারা বাংলাদেশে রেকর্ড গড়েছে। আলী আহমেদ মনে করেন কোন কিছু করার প্রবল ইচ্ছে থাকতে হবে, কাজের সঙ্গে লেগে থাকতে হবে।

এক সময় সফলতা আসবে দাউদকান্দি উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিন চৌধুরী বাসসকে বলেন, মো. আলী আহমেদ মিয়াজী সমাজ ভিত্তিক সংগঠনের মাধ্যমে প্লাবন ভূমিতে মাছ চাষ করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন কুমিল্লা জেলায় মাছ উৎপাদনে তিনি উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন তাকে অনুসরণ করে কেউ যদি মৎস্য চাষ করে তাহলে লাভবান হবেন। 

মন্তব্য করুনঃ

মন্তব্য সমূহ (কোন মন্তব্য পাওয়া যায় নি।)

এই শাখা থেকে আরও পড়ুনঃ