শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, সাগরে ফের লঘুচাপ

 

তামিলনাড়ুর স্থলে উঠে একটি লঘুচাপ গুরুত্বহীন হয়ে পড়ার পর আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে আন্দামান সাগরে। এটি ১৫ নভেম্বর নাগাদ নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।

এর মাঝে দেশের প্রায় সব বিভাগেই ঝরতে পারে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, লঘুচাপের প্রভাবে দেশের বৃষ্টিপাতের প্রবণতা সৃষ্টি হয়েছে। এটি বড় রকমের নয়, বরং গুঁড়ি গুঁড়ি আকারে ঝরবে। এ সময় দেশের অধিকাংশ এলাকার আকাশ থাকবে মেঘলা।

আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, পশ্চিমা লঘুচাপটি হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর থেকে আগত লঘুচাপটির বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত।

এই অবস্থায় রোববার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা নাগাদ রংপুর ছাড়া সব বিভাগে হালকা অথবা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। ফলে সারাদেশের রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পাবে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

সোমবার নাগাদ আবহাওয়ার উন্নতি হবে। বর্ধিত পাঁচ দিনের শুরুতে তাপমাত্রা ফের হ্রাস পাবে।

এদিকে ভারতের সাইক্লোন সেন্টার জানিয়েছে, আন্দামান সাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপটি ১৫ নভেম্বর নাগাদ নিম্নচাপে পরিণত হবে। এরপর আরো ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপ, ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। তখন এর নাম হবে জোয়াল (Jowal), নামটি দিয়েছে সৌদি আরব। এরপর আরও উত্তর-পশ্চিমে অগ্রসর হয়ে ১৮ নভেম্বর নাগাদ এটি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছাবে।

আবহাওয়া অফিস দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে আগেই বলেছিল, নভেম্বরে এক থেকে দুটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার একটি রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে।

শনিবার (১৩ নভেম্বর) দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে, ৩২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায়, ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে কুমারখালীতে, ২৫ মিলিমিটার। ঢাকায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ৭ মিলিমিটার। আর সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যথাক্রমে ২৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ২৩ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সম্পর্কিত শব্দসমূহঃ

মন্তব্য করুনঃ

মন্তব্য সমূহ (কোন মন্তব্য পাওয়া যায় নি।)

এই শাখা থেকে আরও পড়ুনঃ