বুধবার, ০৮ মে ২০২৪

টমেটো চাষে লাভবান জামালপুরের চাষীরা

 

গ্রাম ও চরাঞ্চলের মাঠজুড়ে কেবল চোখে পড়ে টমেটোর খেত। গ্রামের পর গ্রাম মাঠজুড়ে শুধু টমেটো আর টমেটো। আর এতে ভাগ্য বদলে গেছে বহু কৃষকের।

মো. শফিকুল ইসলাম একজন কৃষক। তিনি জমিতে ধান ও পাট চাষ করে তেমন সাফল্য পাননি। ১০ বছর ধরে ধানের পাশাপাশি তিন বিঘা জমিতে টমেটো চাষ করে তাঁর ভাগ্য বদলে গেছে। তাঁর মতো জামালপুর সদর উপজেলার পূর্বাঞ্চলের ৫টি ইউনিয়নের ৩৭টি গ্রামের ৬ হাজার কৃষকের ভাগ্য বদলে গেছে টমেটো চাষে।

জামালপুর সদর উপজেলার পূর্বাঞ্চলের গ্রামগুলোতে টমেটোর বাম্পার ফলন হয়েছে এবার। বাজারে দামও মিলছে ভালো। ফলে কৃষকের মুখের হাসি আরও চওড়া হয়েছে। টমেটো চাষ করে ওইসব গ্রামের প্রায় ছয় হাজার কৃষক আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।

কৃষক ও ব্যবসায়ীদের তথ্যানুসারে, চলতি মৌসুমে এ পর্যন্ত প্রায় ২০০ কোটি টাকার টমেটো বিক্রি হয়েছে। তবে হিমাগার থাকলে আরও বেশি টাকায় টমেটো বিক্রি করা সম্ভব হতো বলে দাবি কৃষকদের।

জামালপুরে টমেটোর সবচেয়ে বড় বাজার নান্দিনা। সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, নান্দিনা বাজারে বিশাল মাঠজুড়ে শুধু টমেটো আর টমেটো। শতাধিক নারী ও পুরুষ শ্রমিক বিক্রির জন্য টমেটো স্তূপ করে রাখছেন। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পাইকারেরা টমেটোর ট্রাক বোঝাই করতে ব্যস্ত।

মৌসুমে নান্দিনা বাজার থেকে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ হাজার মণ টমেটো ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয়। মৌসুমের প্রথম দিকে দুই থেকে তিন হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হয়েছে টমেটো। শেষ দিকে তা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায় নেমে এসেছে।

এ প্রসঙ্গে হিমাগারের কথা তোলেন চাষিরা। তাঁদের সঙ্গে জেলার কৃষি কর্মকর্তারাও এক মত পোষণ করেন। তাঁরা বলেন, সংরক্ষণের সুযোগ না থাকায় চাষিরা সব টমেটো একবারে বিক্রি করতে বাধ্য হন। অথচ পাইকারেরা তা হিমাগারে সংরক্ষণ করে অনেক মুনাফা করেন।

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে টমেটো প্রক্রিয়াজাত কারখানা করেছে একটি বেসরকারি কোম্পানি। কিন্তু জামালপুরে এমন কিছু নেই। চাষিরা মনে করেন, জামালপুরে কারখানা থাকলে তাঁরা আরও লাভবান হতেন।

সম্পর্কিত শব্দসমূহঃ

মন্তব্য করুনঃ

মন্তব্য সমূহ (কোন মন্তব্য পাওয়া যায় নি।)

এই শাখা থেকে আরও পড়ুনঃ