শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বাসাবো-গুলিস্তান রুটে লেগুনার ভাড়ায় করোনা!

 

নাসিম আহামেদ বিজয়: বাসাবো টেম্পুস্ট্যান্ড থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত যাত্রী পরিবহনের বহুল ব্যবহৃত মাধ্যম এই লেগুনা। রাজারবাগ, ফকিরাপুল হয়ে নিয়মিত যাতায়াত করে গাড়িগুলো।

সরেজমিনে কথা বলে জানা গেছে, করোনা সংক্রমণের পূর্বে এই লেগুনাগুলোতে যাত্রী উঠতো পেছনে ৬ জন করে ১২ জন এবং সামনে ২ জন, এভাবে মোট ১৪ জন। ভাড়া ছিল বাসাবো টেম্পুস্ট্যান্ড থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত ১৮ টাকা প্রতিজন। করোনা সংক্রমণ শুরু হলে জনপ্রতি ভাড়া ২ টাকা বাড়িয়ে ২০ টাকা করে, লেগুনার পেছনে ৬ জনের স্থলে ৫ জন করে ১০ জন আর সামনে ২ জন করে মোট ১২ জন নিয়ে চলতে থাকে তাদের পরিবহন সেবা। লেগুনার সীটের ছোট জায়গাটিতে ৬ জন বসা খুবই কষ্টকর ছিল আগে। করোনা আসায় যাত্রীরা বুঝি কিছুটা স্বস্তিতেই যাতায়াত শুরু করলো।

সম্প্রতি ডিজেল এর দাম বৃদ্ধিকে ঘিরে যখন আলোচনা সমালোচনা চলছিল, লেগুনাগুলোও বুঝি ক্রমশ মন খারাপ করে ভাড়া বাড়ানোর বায়না করছিল, যদিও তারা সকলেই গ্যাসে চলে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভাড়া বাড়াবার প্রজ্ঞাপন জারি হবে হবে সময়টাতে, ধর্মঘটে যখন অন্যান্য পরিবহন বন্ধ, তখন লেগুনার চালক এবং সাহায্যকারী প্রায়ই যাত্রীদের সাথে নিজের দাবি করা বাড়তি ভাড়া না দিতে চাওয়ায় তর্কে জড়ায় এবং যাত্রীকে অস্বস্তিতে ফেলে। পরে তারা এভাবে ভাড়া বাড়াতে ব্যার্থ হলে কৌশলে যাত্রী সংখ্যা বাড়িয়ে নেয়। লেগুনাগুলো আগের মতন পেছনে ৫ জনের স্থলে আবারো ৬ জন করে যাত্রী তুলতে শুরু করে, কিন্তু করোনা সংক্রমণের সময়টাতে বাড়ানো ভাড়াটা তারা আর কমায় নি। এতে যাত্রীরা অসন্তুষ্ট হলেও কিছুই করার থাকে না, যেহেতু গাড়ির পেছনে ৬ জন করে ১২ জন আর সামনে ২ জন সহ মোট ১৪ জন না নিয়ে চালক গাড়ি ছাড়বেই না।

এভাবেই যাত্রী সংখ্যার করোনামুক্ত হলেও, লেগুনার ভাড়ায় করোনা জড়িয়েই রয়ে গেল। এই করোনার ভ্যাক্সিন কোথায় পাওয়া যাবে যাত্রীদের তা জানা নেই। ভাড়া একবার কোন কারণে বাড়ানো হলে, সেই কারণের বিলুপ্তি ঘটলেও বাড়তি ভাড়াটা বাড়তিই থেকে যায় বলে যাত্রীদের অভিযোগ।

 

 

সম্পর্কিত শব্দসমূহঃ

মন্তব্য করুনঃ

মন্তব্য সমূহ (কোন মন্তব্য পাওয়া যায় নি।)

এই শাখা থেকে আরও পড়ুনঃ