শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার প্রজ্ঞান ওঝার মন্তব্য

 

৩. ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার প্রজ্ঞান ওঝার মন্তব্য

ক্রীড়া ডেস্ক: বিরাট কোহলিকে মাঠের আম্পায়ার দ্বারা এলবিডব্লিউ আউট করা হয় এবং তৃতীয় আম্পায়ার "কোন চূড়ান্ত প্রমাণ" না পাওয়ায় সিদ্ধান্তটি বাতিল না করার সিদ্ধান্ত নেন।
প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার প্রজ্ঞান ওঝা ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলির বরখাস্তের বিষয়ে একটি অনন্য গ্রহণ করেছিলেন, যা মুম্বাইতে ভারত বনাম নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় টেস্টের ১ দিনের সবচেয়ে আলোচিত মুহূর্তগুলির মধ্যে একটি ছিল। মাঠের আম্পায়ার কোহলিকে এলবিডব্লিউ আউট করেন এবং তৃতীয় আম্পায়ার "কোন চূড়ান্ত প্রমাণ" না পাওয়ায় সিদ্ধান্তটি বাতিল না করার সিদ্ধান্ত নেন। এ ঘটনায় বিভক্ত হয়ে পড়ে ক্রিকেট মহল। অনেকে বিশ্বাস করেছিলেন কোহলি তার প্যাডের আগে বলটি আঘাত করেছিলেন কিন্তু সাইমন ডলের মতো কয়েকজন ছিলেন যারা বিশ্বাস করেছিলেন যে তৃতীয় আম্পায়ার "সঠিক প্রক্রিয়া" অনুসরণ করেছেন।
ভারতীয় ইনিংসের ৩০ তম ওভারে এজাজ প্যাটেল কোহলিকে স্ট্রেইট করে শিয়াল করার সময় এটি সবই ঘটেছিল। আম্পায়ার অনিল চৌধুরীর মনে কোন সন্দেহ ছিল না যে এটি প্রথমে প্যাড ছিল কারণ তিনি দ্রুত আঙুল তুলতেন।
তারকা ব্যাটার, যিনি টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পরে এবং একটি ছোট বিরতি নেওয়ার পরে দলের নেতৃত্বে ফিরে এসেছিলেন, এলবিডব্লিউ সিদ্ধান্তের পুনর্বিবেচনার জন্য বলেছিলেন। টিভি আম্পায়ার বীরেন্দ্র শর্মা বেশ কয়েকটি রিপ্লে দেখেছেন, যার কিছু অ্যাঙ্গেলে বলা হয়েছে বল প্রথমে ব্যাটে আঘাত করতে পারে।
তাকে বলতে শোনা গেছে, "বল এবং ব্যাট এবং প্যাড একসাথে আছে বলে মনে হচ্ছে। এটাকে উল্টে দেওয়ার মতো কোনো চূড়ান্ত প্রমাণ আমার কাছে নেই। সিদ্ধান্তটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে এসেছিল প্যাটেলের সাথে, যিনি চারটি ভারতীয় উইকেট পেয়েছিলেন, এক ওভারে দুটি স্ক্যাল্প পেয়েছিলেন কারণ ভারত একটি শক্ত ওপেনিং স্ট্যান্ডের পরে ৮০-৩-এ নেমে গিয়েছিল।
মায়াঙ্ক আগরওয়াল একটি অপরাজিত সেঞ্চুরি করে ভারতকে উদ্ধার করে, ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আবহাওয়া-প্রভাবিত দিনে খেলার শেষ সময়ে ২২১-৪-এ তাদের রেখে যায়।

৪...  ডেভিস কাপের ফাইনাল থেকে বাদ পড়েছেন জোকোভিচ

ক্রীড়া ডেস্ক: গত শুক্রবার মাদ্রিদে ২-১ ব্যবধানে একটি নির্ণায়ক দ্বৈত লড়াইয়ে নোভাক জোকোভিচ এবং ফিলিপ ক্রাজিনোভিচকে ৭-৫, ৬-১ সেটে হারিয়ে ডেভিস কাপের ফাইনালে পৌঁছেছে ক্রোয়েশিয়া।
পুরুষদের একক বিশ্বের এক নম্বর জোকোভিচ ক্রোয়েশিয়ান মারিন সিলিককে ৬-২, ৬-২-এ পরাজিত করে উদ্বোধনী ম্যাচে তার দলের ঘাটতি মুছে ফেলেন যেখানে দুসান লাজোভিচ বোর্না গোহোর কাছে ৪-৬, ৬-৩, ৬-২ হেরেছিলেন। তবে ডাবলসে গতি ধরে রাখতে পারেননি ৩৪ বছর বয়সী এই তারকা।
ক্রোয়েশিয়ানরা আগামীকাল রবিবারের শোপিসে জার্মানি বা রাশিয়ান টেনিস ফেডারেশনের সাথে লড়াই করবে, 
সার্বিয়ানরা প্রথম দিকে বিশ্বের এক নম্বর পুরুষ জুটি মেকটিক এবং পাভিচের বিরুদ্ধে তাদের নিজেদের ধরে রেখেছিল, কিন্তু ক্রাজিনোভিচ উদ্বোধনী সেটের শেষ খেলায় ব্যর্থ হয়েছিলেন, কারণ মেকটিক মাঝমাঠে ফোরহ্যান্ড রাইফেল করলে তিনি সার্ভ ছেড়ে দেন।
মেকটিক এবং পাভিচের উচ্চতর গতিবিধি এবং ভলি করার ফলে তাদের ক্লাসটি দ্বিতীয় সেটে দেখা গিয়েছিল, সার্বিয়ান জুটি একটি উজ্জ্বল শুরুর পরেও ছিটকে পড়েছিল। জোকোভিচ স্পেনে তার মরসুম শেষ করেছেন, এবং শীঘ্রই ২০২২ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে অংশগ্রহণের বিষয়ে তার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবেন, কারণ তিনি এখনও তার টিকা দেওয়ার অবস্থা প্রকাশ করেননি। এই বছর থেকে তার তিনটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেতাব তাকে রজার ফেদেরার এবং রাফায়েল নাদালের ২০টির রেকর্ডের সমান করেছে।

৫. ইতিহাসে নাম লেখালেন আজাজ প্যাটেল
ক্রীড়া ডেস্ক: জিম লেকর ও অনিল কুম্বলের পর টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এক ইনিংসে ১০ উইকেট নিলেন আজাজ প্যাটেল । ভারতের বিরুদ্ধে চলতি ওয়াংখেড়ে টেস্টের লাঞ্চের পরেই এই বিশেষ কীর্তি গড়েন নিউজিল্যান্ডের বাঁহাতি স্পিনার। এমন ঐতিহাসিক পারফরম্যান্সের পর তাঁর বোলিং ফিগার ৪৭.৫-১২-১১৯-১০। এর ফলে ভারতের প্রথম ইনিংস ৩২৫ রানে শেষ হয়ে য়ায়। 
বিদেশের মাটিতে তিনি একমাত্র বোলার, যিনি এই কৃতিত্ব অর্জন করলেন। অজাজের আগে ভারতের মাটিতে আট উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব রয়েছে নেথান লায়ন, লান্স ক্লুজনার, সিকান্দার বখত এবং জেসন ক্রেজার।
টেস্ট ক্রিকেটের ১৪৪ ইতিহাসে মাত্র তিন বার এক ইনিংসে ১০ উইকেট নেওয়ার ঘটনা সামনে এল। ওল্ড ট্রাফোর্ড, ফিরোজ শাহ কোটলার পর ওয়াংখেড়ে এমন ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী থাকল। 
টেস্টে এক ইনিংসে ১০ উইকেট নেওয়ার নজির সবার গড়েছিলেন জিম লেকর। ১৯৫৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চতুর্থ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৩ রানে ১০ উইকেট নিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের এই অফ স্পিনার। শুধু তাই নয়, সেই টেস্টের প্রথম ইনিংসেও দাপট দেখিয়েছিলেন জিম লেকর। নিয়েছিলেন ৩৭ রানে ৯ উইকেট। সেই টেস্টে মোট ১৯ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। 
দ্বিতীয় ঘটনা ঘটেছিল এর ঠিক ৪৩ বছর পর ১৯৯৯ সালে। কোটলা টেস্টে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৭৪ রানে ১০ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় বোলার হিসেবে এমন নজির গড়েছিলেন কুম্বলে। সেই টেস্টের প্রথম ইনিংসেও সাফল্য পেয়েছিলেন জাম্বো। নিয়েছিলেন ৭৫ রানে ৪ উইকেট।
৬. টেস্ট খেলে বাবার ইচ্ছে পূরণ করতে চান বেঙ্কটেশ
ক্রীড়া ডেস্ক: কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে মাত্র দশটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন শেষ মরসুমে। ৩৭০ রানের পাশাপাশি তিনটি উইকেট নিয়ে ক্রিকেটবিশ্বকে চমকে দিয়েছেন বেঙ্কটেশ আয়ার। আইপিএলের দ্বিতীয় দফায় সপ্তম স্থান থেকে দলকে প্লে-অফে ওঠার স্বপ্ন দেখান তিনিই। তাঁর লড়াইয়ের মর্যাদা দিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। আট কোটি টাকা দিয়ে নাইট কর্তারা রেখে দেন আয়ারকে। 
প্রশ্ন করলে আয়ার বলেন,নাইট পরিবারকে ধন্যবাদ: মাত্র দশ ম্যাচ খেলার পরেই যে আমাকে রেখে দেওয়া হবে, সত্যি ভাবিনি। তবে আগে থেকেই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল, আমার দিকে নজর রয়েছে। অন্য একটি দলও আমাকে তাদের ফ্র্যাঞ্চাইজরিতে চেয়েছিল। কিন্তু কেকেআরের এই প্রস্তাব আমি ফেলতে পারিনি। নাইট জার্সিতেই পরিচিতি পেয়েছি ক্রিকেটবিশ্বে। আরও একটি মরসুম এই দলের হয়ে খেলতে চাই। এ বার আইপিএল হবে ভারতে। আশা করব, ইডেনে দর্শকঠাসা গ্যালারির সামনে খেলার সুযোগ পাব। ভারতীয় দলের হয়ে ইডেনে খেলার পরে আন্দাজ করতে পেরেছি, আইপিএলে কী রকম হতে পারে মাঠের পরিবেশ।
দেশের হয়ে খেলার অভিজ্ঞতা: ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। ভারতের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখতাম বলেই চাকরি ছেড়ে ক্রিকেটকে বেছে নিয়েছিলাম। দেশের হয়ে অভিষেক ম্যাচের দিনই নায়ক হয়ে ওঠার সুযোগ ছিল। শেষ ওভারে ম্যাচ জেতানোর পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছিল। কিন্তু ডারিল মিচেলের বলে আমার রিভার্স সুইপ হাতে চলে যায় রাচিন রবীন্দ্রের। সত্যি বলতে, মন ভেঙে গিয়েছিল। তবে রাহুল স্যর, রোহিত ভাইয়ের সঙ্গে একই ড্রেসিংরুম ব্যবহার করার সুযোগ পাওয়াই বিরাট প্রাপ্তি। দু’জনেই খুব শান্ত। অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। এক-দু’টো ম্যাচ খারাপ গেলেই মন ভেঙে যেত। রাহুল স্যর বুঝিয়েছেন, প্রত্যেকের জীবনে এ ধরনের সময় আসে। সেখান থেকে যারা ঘুরে দাঁড়াতে পারে, তাদেরই মনে রাখেন সমর্থকেরা।
ফিনিশারের ভূমিকা: ছোটবেলা থেকেই আমি অলরাউন্ডার। মহেন্দ্র সিংহ ধোনির ম্যাচ জেতানোর মুহূর্তগুলো মনের মধ্যে গেঁথে গিয়েছে। এখনও মাহি ভাইয়ের পুরনো ভিডিয়ো দেখি। ভারতীয় দলে আসার পরে আমাকে যখন বলা হয়েছিল ফিনিশারের ভূমিকা পালন করতে হবে, খুবই খুশি হয়েছিলাম। মধ্যপ্রদেশের হয়ে যে কোনও জায়গায় ব্যাট করি। দেশের হয়েও একই ভূমিকা পালন করতে চাই। বল হাতেও আরও বৈচিত্র বাড়াচ্ছি। আশা করি, বিজয় হজারে ট্রফিতে তার ঝলক কিছুটা দেখতে পাবেন।
টেস্ট খেলার স্বপ্ন: প্রত্যেক ক্রিকেটার একটি স্বপ্ন নিয়েই ব্যাট-বল ধরে। দেশের হয়ে টেস্ট খেলবে বলে। আমার বাবা টেস্ট ক্রিকেটের ভক্ত। টিভিতে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট চালিয়ে দিলেও উনি টেস্টই দেখবেন। বাবা বরাবর বলেন, দেশের হয়ে তোকে টেস্ট খেলতে দেখতে চাই।
টেস্ট খেলার সম্ভাবনা: টি-টোয়েন্টিতে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার স্বপ্ন যে ভাবে পূরণ হয়েছে, আশা করি টেস্টের দরজাও সে ভাবে খুলবে। শ্রেয়স আয়ারের অভিষেক ম্যাচের দাপট আমাকে আরও উদ্বুদ্ধ করেছে। প্রথম ব্যাটার হিসেবে অভিষেক ম্যাচে সেঞ্চুরি ও হাফসেঞ্চুরি করার নজির গড়েছে ও। শ্রেয়সের মতো বন্ধুই আমাকে অনুপ্রাণিত করে টেস্ট খেলার জন্য। আসন্ন রঞ্জি ট্রফিতে নিজেকে উজাড় করে দিতে চাই। তার পরে দেখব, সুযোগ আসে কি না।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফর: বিরাট ভাই আগের দিন বলেছেন, তাঁরা এ বিষয়ে আলোচনা করছেন। তাড়াহুড়ো করে এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়, যা সমস্যা বাড়াবে। এ বিষয়ে আমার কোনও মতামত নেই। বোর্ড ও সিনিয়র ক্রিকেটারেরা যা ঠিক করবেন, সেটাই মেনে নেব।
গর্বিত প্রতিবেশীরা: ভারতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করে বাড়ি ফেরার পরে প্রতিবেশীরা আমাকে বিশেষ ভাবে স্বাগত জানিয়েছিলেন। প্রত্যেকে মিষ্টিমুখ করেন। দেখে মনে হচ্ছিল বড় কোনও প্রতিযোগিতা জিতে ফিরছি। এত আনন্দ আগে কখনও পাইনি। ভারতীয় দলে খেলার সম্মান হয়তো এ রকমই। যত দিন যাবে, এই দেশের মানুষ আমাকে হয়তো আরও কাছে টেনে নেবেন।
৭. দক্ষিণ আফ্রিকা সফর বাতিলের পক্ষে নয় বোর্ড-সৌরভ
ক্রীড়া ডেস্ক: কলকাতায় শনি ও রবিবার ভারতীয় বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভায় সবচেয়ে বেশি নজর থাকবে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের উপর। যদিও সরকারি ভাবে আলোচ্য সূচিতে এই বিষয়টি নেই। মুম্বইয়ে টেস্ট শেষ করেই বিরাট কোহলীদের যাওয়ার কথা দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে। কিন্তু ওমিক্রন আতঙ্কে সেই সফর নিয়ে তীব্র জলঘোলা শুরু হয়েছে।
ডেল্টার চেয়েও অনেক বেশি সংক্রামক বলা হচ্ছে ওমিক্রনকে। যে কারণে সারা বিশ্বে ফের আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। আর দক্ষিণ আফ্রিকায় যে-হেতু এর উৎপত্তি, সেখানকার সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন করতে চাইছে অনেক দেশ। তার মধ্যে কোহলী, রোহিতরা কী ভাবে ক্রিকেট সফরে অ্যালান ডোনাল্ডদের দেশে যাবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
তবে বোর্ডের শীর্ষ কর্তারা বৈঠকে বসার আগের রাতে যা ইঙ্গিত, পরিস্থিতির খুব অবনতি না ঘটলে কোহলীদের সফর বাতিল করা হবে না। দু’দেশের বোর্ডের মধ্যে সফর নিয়ে দফায় দফায় কথা হচ্ছে। এখন দু’দেশের দুই বোর্ড প্রধান প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং গ্রেম স্মিথ। দু’জনের মধ্যে খুবই মধুর সম্পর্ক। তাই সফর বাঁচানোর চেষ্টা চললে অবাক হওয়ার নেই। কোহলীদের সফর বাতিল হওয়া মানে স্মিথদের বোর্ডের বিরাট ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা। তাই ক্রিকেটারদের শারীরিক সুস্থতার সঙ্গে আপস না করে সব রকম চেষ্টা হবে সফর বাঁচানোর। কাকতালীয় হতে পারে, কিন্তু করোনার প্রভাবে ভারতে প্রথম যে ক্রিকেট সিরিজ বাতিল হয়, তাতে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কলকাতা থেকে উড়ান ধরে দেশে ফিরে গিয়েছিলেন কুইন্টন ডি’ককেরা।
জোহানেসবার্গ, যেখানে কোহলীদের প্রথম দু’টি টেস্ট খেলার কথা, সেখানে ওমিক্রন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে কি না, সে দিকে নজর রাখছে ভারতীয় বোর্ড। ১৭ ডিসেম্বর প্রথম টেস্ট। মুম্বইয়ে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট শেষ করে ৯ ডিসেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার উড়ান ধরার কথা ভারতীয় ক্রিকেটারদের। গত শুক্রবার রাত পর্যন্ত যা খবর, যাত্রার দিনক্ষণ অপরিবর্তিত। ওয়াকিবহাল মহলের এক জন বললেন, ‘‘পরিস্থিতির অবনতি হলে তো আগের দিনও সফর বাতিল করতে হতে পারে। সেটা ইমার্জেন্সি পরিস্থিতি। তবে এখনও পর্যন্ত যা অবস্থান, সফর হচ্ছে বলেই ধরা আছে।’’ ক্রিকেটারদের মধ্যে উদ্বেগ যে রয়েছে, সন্দেহ নেই। অনেকের মনেই প্রশ্ন, ওখানে গিয়ে বিপদ হলে কী হবে? দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, সব চেয়ে সুরক্ষিত বলয়ের ব্যবস্থা করবে ভারতীয় দলের জন্য। স্ত্রী, পরিবারও সেই বলয়ে স্বাগত। শুক্রবার রাত পর্যন্ত কোনও ভারতীয় ক্রিকেটার আপত্তি তুলে বলেননি, ওমিক্রন আক্রান্ত দেশে তিনি বা তাঁরা যেতে চান না।
গত শুক্রবার ইডেনে নিজেদের মধ্যে ক্রিকেট খেলেন সৌরভ-জয় শাহরা। সেখানে ছিলেন মহম্মদ আজহারউদ্দিনও। গতকাল শনিবার বোর্ডের বৈঠকে সফর বাতিলের চেয়ে চালু রাখার পক্ষে মতই বেশি পড়তে পারে। দক্ষিণ আফ্রিকায় সফররত ভারতীয় ‘এ’ দলকে ফিরিয়ে আনেনি বোর্ড। হনুমা বিহারী, পৃথ্বী শ, ঈশান পোড়েলরা ওমিক্রন আতঙ্কের মধ্যেই সেখানে খেলে চলেছেন। সিনিয়র দলের ক্ষেত্রেও একই মনোভাব নিয়ে এগোচ্ছেন সৌরভরা।
আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে তিনটি টেস্ট, তিনটি ওয়ান ডে এবং চারটি টি-টোয়েন্টি খেলার কথা ভারতের। সেই সূচিতে কিছুটা কাটছাঁট হলেও হতে পারে। ভারত সরকার যদি বাধ্যতামূলক করে দেয় যে, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফেরার পরে ১৪ দিনের কোয়রান্টিন করতেই হবে, তা হলে সফর ছোট করতে হতে পারে।

 

মন্তব্য করুনঃ

মন্তব্য সমূহ (কোন মন্তব্য পাওয়া যায় নি।)

এই শাখা থেকে আরও পড়ুনঃ