শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মুগদার সেই তরুণীকে কানাডার হাতে তুলে দিলেন হাইকোর্ট

 

রাজধানীর উত্তর মুগদায় ১০ মাস ধরে মা-বাবার বাসায় গৃহবন্দি থাকার অভিযোগ করা ১৯ বছরের কানাডীয় তরুণীকে দেশটির সরকারের প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে আজ রোববার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন। তরুণীর বাবা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া কানাডা হাইকমিশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

গত ৫ এপ্রিল রাজধানীর উত্তর মুগদায় ১০ মাস ধরে বাবা-মায়ের বাসায় ‘গৃহবন্দি থাকা’ ১৯ বছরের কানাডীয় তরুণীকে হাজির করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। মুগদা থানার পুলিশ এবং তরুণীর  বাবা-মাকে তাঁদের মেয়েকে হাজির করতে বলা হয়।

একই সঙ্গে ১৯ বছরের তরুণীর অসম্মতিতে তাঁকে ১০ মাস ধরে আটক রাখা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।

রিটের নথি থেকে জানা যায়, ১৯ বছরের ওই তরুণীর জন্ম কানাডায়। তিনি জন্মসূত্রে কানাডার নাগরিক। কানাডার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। তাঁর বাবা-মাও কানাডায় থাকতেন। ১০ মাস আগে তাঁর বাবা-মা বেড়ানোর কথা বলে তাঁকে নিয়ে বাংলাদেশে আসেন। এরপর ওই তরুণী কানাডায় ফিরে যেতে চাইলেও তাঁকে যেতে দেওয়া হয়নি।

রিট আবেদনে বলা হয়েছে, তরুণীর কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে তাঁকে তাঁর নানি ও মা সব সময় বাসায় বন্দি করে রাখেন। একপর্যায়ে ওই তরুণী ল্যান্ড ফোনে কানাডা সরকার ও ঢাকায় কানাডা হাইকমিশনকে তাঁকে ঘরবন্দি করে রাখার কথা জানান। ওই তরুণী কানাডায় ফিরে যাওয়ার ইচ্ছার কথা জানান।

গত ৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মুগদা থানায় কানাডীয় হাইকমিশন থেকে সাধারণ ডায়েরি করা হয়। তারপর হাইকমিশনের পক্ষে মানবাধিকার সংগঠন ব্লাস্ট, আইন ও সালিশ কেন্দ্র হাইকোর্টে রিট করে। রিটে পুলিশের আইজি, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, মুগদা থানার ওসি, ওই তরুণীর বাবা-মাকে বিবাদী করা হয়।

সম্পর্কিত শব্দসমূহঃ

মন্তব্য করুনঃ

মন্তব্য সমূহ (কোন মন্তব্য পাওয়া যায় নি।)

এই শাখা থেকে আরও পড়ুনঃ