মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪

সিএনজি স্টেশন ৭ ঘণ্টা বন্ধ রাখতে চায় সরকার

 

গ্যাসের সরবরাহ কমে যাওয়ায় সিএনজি স্টেশন আরও দুই ঘণ্টা বন্ধ রাখতে চায় পেট্রোবাংলা। বর্তমানে সিএনজি স্টেশনগুলো সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত পাঁচ ঘণ্টা বন্ধ থাকে। আরও দুই ঘণ্টা বাড়ানো হলে মোট সাত ঘণ্টা বন্ধ থাকবে স্টেশনগুলো।

জানা গেছে, মঙ্গলবার সিএনজি স্টেশন মালিকদের সঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল-গ্যাস কোম্পানি পেট্রোবাংলার এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে কতক্ষণ পর্যন্ত সরবরাহ বন্ধ থাকবে, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।

তবে এ বিষয়ে অসম্মতি জানিয়েছেন মালিকপক্ষ। তারা জানিয়েছেন, বিদ্যুতের কারণে ৫-৬ ঘণ্টা গ্যাস বিক্রি বন্ধ থাকে। রেশনিংয়ের আওতায় পাঁচ ঘণ্টা গ্যাস বিক্রি করা হয় না। পাশাপাশি স্বল্প চাপের কারণে গ্যাস নিতে সময় লাগে। এরমধ্যে রেশনিং আরও দুই ঘণ্টা বাড়ানো হলে ব্যবসা থাকবে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিএনজি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি ফারহান নূর বলেন, গ্যাস সংকটের কথা জানিয়ে পেট্রোবাংলা আরও দুই ঘণ্টা সিএনজি স্টেশন বন্ধ রাখার বিষয়ে আলোচনা করেছে। কিন্তু আমাদের যে পরিস্থিতি, তাতে আমরা অসম্মতি জানাই।

তিনি বলেন, বর্তমানে সিএনজি স্টেশনগুলো মোট সরবরাহ করা গ্যাসের মাত্র তিন শতাংশ ব্যবহার করে সর্বোচ্চ দাম দেয়। এই অল্প গ্যাসে রেশনিং বাড়িয়ে খুব বেশি লাভ হবে না। বরং গাড়িতে তেল ব্যবহারের পরিমাণ বাড়বে, যা দেশের পরিবেশ ও অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর।

গত ১ মার্চ থেকে সিএনজি স্টেশনগুলো সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত পাঁচ ঘণ্টা বন্ধ থাকে। এর আগে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা বন্ধ থাকতো স্টেশনগুলো।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে পেট্রোবাংলার পরিচালক (অপারেশন) মো. কামরুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। চূড়ান্ত কিছু হয়নি। তবে সংকটে সবাই এগিয়ে না এলে আমাদের একার পক্ষে মোকাবিলা সম্ভব নয়।

প্রসঙ্গত, দেশে বর্তমান গ্যাসের চাহিদা ৪২০ কোটি ঘনফুট। এরমধ্যে পেট্রোবাংলা সরবরাহ করছে ২৬৭ কোটি ঘনফুট। আর এলএনজি থেকে আসছে ৩৮ কোটি ঘনফুট। দেশে সিএনজি স্টেশনের সংখ্যা প্রায় ৫০০। প্রতি ইউনিট গ্যাস বিক্রি করা হয় ৪৩ টাকায়।

সম্পর্কিত শব্দসমূহঃ

মন্তব্য করুনঃ

মন্তব্য সমূহ (কোন মন্তব্য পাওয়া যায় নি।)

এই শাখা থেকে আরও পড়ুনঃ